আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে সূরা-শুরা
২৩ নং আয়াতে ইরশাদ করেছেন-
“হে নবী বলুন- হে পৃথিবীর সকল মানব
জাতি, আমি তোমাদের থেকে (ধর্ম প্রচার ও হেদায়ত এবং পথ প্রর্দশন) এর বিনিময়ে কোন কিছু প্রতিদান চাইনা। শুধু চাই আমার নিকটতম আত্মীয় স্বজনের ভালবাসা”
উপরে উল্লিখিত আয়াত দ্বারা বুঝা গেল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আত্মীয়দের মুহব্বত করা ফরজ করে দিয়েছেন। অতএব, চিন্তা করে দেখতে হবে যে, এ আত্মীয়গণ কারা এ আয়াত কারীমা নাযিল হওয়ার পর সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করল ইয়া রাসূলাল্লাহ আপনার নিকটতম আত্মীয় স্বজন কারা, যাদের ভালবাসা আল্লাহ আমাদের উপর ফরয করে দিয়েছেন। নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন- তারা হল হযরত আলী (রাঃ) হযরত মা ফাতেমা (রাঃ) তাদের
ছেলে ইমাম হাসান (রাঃ) ইমাম হুসেইন (রাঃ) এবং এদের কে ইসলামে বলা হয় পাক পাঞ্জেতন। (যারকানী আলাল, সাওয়াহেব, সাওয়াই মুহরিকা)
যেমন: হযরত সাঈদ
ইবনে জুবায়ের (রা:)থেকে বর্নিত, আত্মীয়গণ দ্বারা
হুযুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র নূরানী
বংশধরগণ কে বুঝানো
হয়েছে। (বোখারী শরীফ)
সুতরাং দুনিয়া ও আখিরাতে নাযাত পাওয়ার পূর্ব শর্ত হলো আহলে বায়াতের প্রতি ভালবাসা থাকা। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম এর নূরানী
জবানের ঘোষণা: নবীজীর সাহাবী
হযরত আবূযর (রা:) হতে
বর্নিত তিনি বলেন- নিশ্চয়
আমার আহলে বায়াতগণ তোমাদের জন্য হযরত নূহ (আ:) এর কিস্তির মত। এতে যারা আরোহন করেছে তারাই মুক্তি পেয়েছে, এবং যারা আরোহন করে নাই, অর্থাৎ বিরোধিতা করেছে তারা ধংস হয়েছে। (মিসকাত শরীফ পৃষ্ঠা নং-৫৭৩)
আমার আহলে বায়াতগণ তোমাদের জন্য হযরত নূহ (আ:) এর কিস্তির মত। এতে যারা আরোহন করেছে তারাই মুক্তি পেয়েছে, এবং যারা আরোহন করে নাই, অর্থাৎ বিরোধিতা করেছে তারা ধংস হয়েছে। (মিসকাত শরীফ পৃষ্ঠা নং-৫৭৩)
উল্লেখিত
কালামূল্লাহ শরীফ ও সহীহ
হাদিস থেকে জানা যায়,
নামায রোযা হজ্ব
যাকাত ইবাদত বন্দেগীর
মাধ্যমে আল্লাহ ও রাসূলের
ভালবাসা অর্জন করতে হলে সর্ব
প্রথম নবীজীর পরিবার কে
ভালবাসতে হবে ও তাদের
নৈকট্য অর্জন করতে হবে। এখন
লক্ষ্য করা যাক, যারা হযরত নূহ
(আ:) এর কিস্তির
মধ্যে আরোহন করেছিল। তারাই
একমাত্র মুক্তি পেয়েছিল। এবং
যারা অবাধ্য হয়ে বিরোধিতা
করল তারা ধংস হয়ে গিয়েছিল।
তাই নবীজি বলেছেন
হযরত নূহ (আ:) এর উম্মতের
উপর যেভাবে তুফান এসেছিল
শেষ যমানায়
উম্মতে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর একইভাবে তুফান
আসতে পারে এটা নিশ্চিত জানতেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তবে নূহ (আ:) এর উপর যে তুফান টি এসেছিল তা ছিল বাহ্যিক। তথা প্রকাশ্য, অতঃপর উম্মতে মুহাম্মদির উপর তুফানটি হবে অপ্রকাশ্য। তাদের ঈমান আকিদার উপর
দিয়ে বয়ে যাবে অনেক মহাপ্লাবন। সে প্লাবনে অনেক মানুষের মূল্যবান ঈমান হারিয়ে যাবে। তাই নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন সেই মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা পেতে হলে যেভাবে হযরত নূহ (আ:) এর উম্মতগণ তাঁর আদেশে তাঁর কিস্তিতে আরোহন করেছিল তারাই শুধু মুক্তি পেয়েছিল। তাই আমার শেষ
যামানায় উম্মতদের মুক্তির জন্য যে জাহাজ রেখে যাচ্ছি তারা আমার আহলে বায়াত। অর্থাৎ- আমার আওলাদের সাথে যাদের ভালবাসার সম্পর্ক থাকবে তারাই শুধু মুক্তি পাবে। এবং জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত পাবে।
উম্মতে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর একইভাবে তুফান
আসতে পারে এটা নিশ্চিত জানতেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তবে নূহ (আ:) এর উপর যে তুফান টি এসেছিল তা ছিল বাহ্যিক। তথা প্রকাশ্য, অতঃপর উম্মতে মুহাম্মদির উপর তুফানটি হবে অপ্রকাশ্য। তাদের ঈমান আকিদার উপর
দিয়ে বয়ে যাবে অনেক মহাপ্লাবন। সে প্লাবনে অনেক মানুষের মূল্যবান ঈমান হারিয়ে যাবে। তাই নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন সেই মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা পেতে হলে যেভাবে হযরত নূহ (আ:) এর উম্মতগণ তাঁর আদেশে তাঁর কিস্তিতে আরোহন করেছিল তারাই শুধু মুক্তি পেয়েছিল। তাই আমার শেষ
যামানায় উম্মতদের মুক্তির জন্য যে জাহাজ রেখে যাচ্ছি তারা আমার আহলে বায়াত। অর্থাৎ- আমার আওলাদের সাথে যাদের ভালবাসার সম্পর্ক থাকবে তারাই শুধু মুক্তি পাবে। এবং জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত পাবে।
No comments:
Post a Comment