যে পশু দ্বারা ক্বোরবানী দেয়া যায় তা হলঃ
১.উটঃ এর বয়স নূন্যতম ৫ বছর হতে হবে।
২. গরুঃ এর বয়স নূন্যতম ২ বছর হতে হবে।
৪. ছাগলঃ এর বয়স নূন্যতম ১ বছর বছর হতে হবে।
৫. ভেড়া /দুম্বাঃ এর বয়সও নূন্যতম ১ বছর হতে হবে। তবে যদি দুম্বা এবং ভেড়ার বয়স ৬ মাস থাকা অবস্থায় ১ বছর বয়সের ন্যায় মোটাতাজা হয় তাহলে তা দিয়েও ক্বোরবানী জায়েয হবে।
পশু যেমন হতে হবেঃ
মাস্আলা ১- ক্বোরবানী পশু মোটাতাজা এবং ভাল হওয়া চাই। দোষত্রুটি মুক্ত হওয়া চাই। সামান্য দোষত্রুটি থাকলে ক্বোরবানী হয়ে যাবে কিন্তু মাক্রুহ হবে। আর যদি দোষত্রুটি বড় আকারের হয় তাহলে ক্বোরবানী হবেনা।(দুর্রুল মোখতার, আলমগীরী)
মাস্আলা ২- জন্মগত শিংবিহীন পশু দ্বারা ক্বোরবানী জায়েয। তবে শিং ছিল কিন্তু মজ্জাসহ ভেঙ্গে গেছে, তাহলে না-জায়েয আর যদি এর থেকে কম ভাঙ্গে তাহলে জায়েয। (আলমগীরী)
মাস্আলা ৩- অন্ধ, কানকাটা, লেজ কাটা, দাঁতবিহীন, ঠোঁট কাটা, নাক কাটা, জন্মগত কান বিহীন ইত্যাদি দোষযুক্ত পশুর দ্বারা ক্বোরবানী জায়েয নেই। (দুর্রুল মোখতার)
মাস্আলা ৪- ক্বোরবানী করার পর পেটে যদি জীবিত বাচ্ছা দেখা যায়, সেটাও জবেহ করে দেবে এবং কাজে লাগাতে পারবে। আর যদি মৃত হয় তাহলে ফেলে দেব। (বাহারে শরীয়ত)
মাস্আলা ৫- ক্রয় করার পর ক্বোরবানীর আগে পশু বাচ্ছা প্রসব করলে, তাহলে সেটাও জবেহ্ করে দেবে, যদি বিক্রি করে তাহলে এর মূল্য যেন সদ্কা করে দেয়া হয়। আর যদি ক্বোরবানীর সময় জবেহ্ করা না হয়, তাহলে জীবিত সদ্কা করে দেবে। (বাহারে শরীয়ত, আলমগীরী)
No comments:
Post a Comment